- জাতীয়, নরসিংদীর খবর, বিনোদন, লিড নিউজ, সারাদেশ

আজকের খোঁজখবরের প্রধান উপদেষ্টা ড. দিল আফরোজ বেগম এঁর ৭৪ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
আজকের খোঁজখবর পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. দিল আফরোজ এঁর ৭৪তম জন্মদিন কোভিড-১৯ এর কারণে পারিবারিকভাবে সীমিত পরিসরে পালন করা হয়েছে।
জন্ম ১৯৪৭। পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার মাদারীটোলা গ্রামে। বাবা মরহুম সিরাজুল মুস্তফা ছিলেন রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মা মরহুমা তৈয়বা মুস্তফা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে বাংলায় বিএ (অনার্স) ও ১৯৬৯ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি-এইচ.ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭১ সালের জানুয়ারী মাসে ঢাকা জগন্নাথ কলেজের অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, সিলেট এমসি কলেজ ও চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ, সরকারী সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম সরকারী মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ও চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ ও হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তাঁর এক মাত্র সন্তান আবু হেনা মোরশেদ জামান কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)। পুত্র বধু ডা. ফাতিমা নুসরাত জামান সেতু হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক। ছাত্র জীবন থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। দীর্ঘ অধ্যাপনার জীবনে যেমন বহুকৃতির ছাত্র-ছাত্রীর গর্বিত শিক্ষক হয়েছেন তেমনি তার সৃজনশীল লেখনী ধারায় অজ¯্র প্রমাণ ছাড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন, প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকা এবং ইতোমধ্যে প্রকাশিত ছয়টি গ্রন্থ। এর মধ্যে কবিতার চারটি বই হলো ‘স্বপ্ন ফেরি করে’, ‘অরণ্যে ফুটে আজও মায়াবতী ফুল’, ‘নক্ষত্র জেগেছে’, ‘আয়ুষ্মতী সময়’ এবং দুটি প্রবন্ধ।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আসছেন। ঋজু শিক্ষক, কুশলী লেখক দিল আফরোজ বেগম পেয়েছেন সৃজনশীল সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে অবসর সম্মাননা পুরস্কার এবং নজরুল গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য নজরুল জয়ন্তী পরিষদ পদক। তার প্রিয় পেশা অধ্যাপনা থেকে অবসর নিলেও এখন অটুট আছে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি ভালোবাসা, পড়াশোনা ও লেখালেখির নেশা আর ক্রমেই প্রবলতর হচ্ছে প্রিয় উত্তর প্রজন্ম মাহির মাশফির প্রতি দুর্বলতা।
মায়ের জন্ম দিনে পুত্রের ফেইসবুক স্ট্যাটাস:
তেহাত্তরের তরুণী-২১অক্টোবর ১৯৪৭-এ তাঁর জন্ম। তারপর থেকে কত শীত, গ্রীষ্ম গেলো। মনে পড়ে -১৯৮৩ সালে ঈযরঃঃধমড়হম ঈড়ষষবমব এ মাত্রই ফার্ষ্ট ইয়ারে পড়ি। আর্টসে ছেলেদের চেয়ে সুদর্শনা কিশোরী তরুণীদের মেলা। বাংলা ক্লাস বিশাল গ্যালারীতে। বাংলার ম্যাডাম রোল কল করছেন , এবসেন্ট এক বন্ধুর প্রক্সি দিলাম লাস্ট বেন্চ থেকে – “প্রেজেন্ট ম্যাম।”
অমনি ট্যারট্যারে গলায়- রোল ৫৮৯, দাঁড়াও। বুঝলাম-“ঠ্যাটা বেগম ” এর কাছে ধরা খেয়েছি। ৪৫ মিনিটের পুরো ক্লাস জুড়ে এতগুলো সুন্দরী মেয়ের চাপা হাসির মাঝে আমাকে বেঞ্চের উপর দাঁড় করিয়ে রাখলেন। ভাবা যায়- কলেজ ফার্ষ্ট ইয়ারের ছেলের সাথে এই ব্যবহার! তাও নিজের পেটের ছেলে ।আজকের যুগ হলে মিছিল হয়ে যেতো। ২০১৫ তে রেনাল ক্যান্সারের অপারেশনের পর একটা কিডনি ফেলে দিলেও সেই ঠ্যাটা ভাব কমেনি এই ভদ্রমহিলার। ৫ বছর পর সেই সার্জারির ইনফেকশনে আবার সার্জারি আগামী ২৪ অক্টোবর। আমার ঠ্যাটা আম্মার – জন্য তাই দোয়া চাই সবার। আজ ৭৩ প‚র্ণ হলো এই ঠ্যাটা আর সংগ্রামী চির তরুণীর। আমি কার মত হয়েছি বোঝা যায়? আমি আমার মা এরই ছেলে। ঠ্যাটা আম্মার জন্য চিরকালীন ভালোবাসা। করুণাময় তাঁকে সুস্থ্যতা আর নেক হায়াত দারাজ করুন। শুভ জন্মদিন আমার ” ঠ্যাটা” আম্মা।
আজকের খোঁজখবর পরিবার সকলের প্রিয় খালাম্মার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।