- আন্তর্জাতিক, জাতীয়, লিড নিউজ, সারাদেশ

হোয়াইট হাউসের পথে জো বাইডেন

মাহবুবুর রহমান

মার্কিন নির্বাচনে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা দখল নিয়ে ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে তুমুল ভোটের লড়াই চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে বাইডেনের দরকার আর ৬ ইলেকটোরাল ভোট। অপর দিকে ট্রাম্পের প্রয়োজন আরও ৫৬ ভোট। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেনের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা বেড়ে ২৬৪টিতে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে ট্রাম্পের অবস্থান ২১৪তে।

সে হিসেবে এখনই মোটামুটি বরা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ি হতে চলেছেন জো বাইডেন। মিশিগান, উইসকনসিনে জিতেছেন জো বাইডেন। অন্যদিকে শুধু নেভাদায় দুই প্রার্থীর ব্যবধান সবচেয়ে কম। ভোট গণনাও বাকি অনেক। সে হিসেবে বলতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হবেন সেই ভাগ্য ঝুলে আছে নেভাদায়। মিশিগান, উইসকনসিন ও নেভাদায় জিতলেই বাইডেনের ২৭০ এর কোটা পূর্ণ হবে।

এদিকে, মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনা বন্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছে রিপাবলিকান পার্টির নির্বাচনী প্রচার শিবির। তবে সিএনএন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট আদালতের কর্মকর্তা মর্গান অ্যাডামস জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো মামলার নথিপত্র আদালত পায়নি।

নির্বাচনী ফল বিশ্লেষণে জানা গেছে, বেশিসংখ্যক অঙ্গরাজ্যে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সেগুলোতে ইলেকটোরাল ভোট কম। রিপাবলিকান প্রার্থী ২৩টি রাজ্যে বিজয়ী হয়েছেন। যার মধ্যে ফ্লোরিডা, টেক্সাস, ইন্ডিয়ানা, কেন্টাকি, মিসৌরি ও ওহাইও অন্যতম। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও এসব রাজ্য দখলে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। উইসকনসিনের ফলও প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। এখানেও তিনি মামলার কথা বলেছেন।

বাইডেন ১৮টি রাজ্যে জয়ী হলেও সেগুলোকে ইলেকটোরাল ভোট বেশি। যার মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন রয়েছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন এসব রাজ্য থেকে জয়ী হয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, পপুলার ভোটে যে জয়ী হবে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, যদি না ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পক্ষে না থাকে। আগের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন সাড়ে ২৯ লাখ ভোট বেশি পেয়েও জয়ী হতে পারেননি ট্রাম্পের সঙ্গে।