- জাতীয়, নরসিংদীর খবর, রায়পুরা, লিড নিউজ, সারাদেশ

চরম জনবল সংকটে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স – চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

জনবল সংকটে ব্যহত হচ্ছে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা।

এ.কে.এম সেলিমঃ

রায়পুরা ২৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে সর্বৃবহৎ উপজেলা গঠিত । এই উপজেলায় বসবাসরত সাত লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রয়েছে একটি মাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এখানে প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অপ্রতুল হওয়ায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ফলে উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলসহ দুরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে সাধারণ রোগীরা প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সেইসাথে জনবলের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নতুন ভবনের ফার্নিচারসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, শুধুমাত্র ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ৩৫ জন ডাক্তারের মুঞ্জরীকৃত পদ

রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি পদই শুন্য। অন্যত্র সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে আরো ৯জন ডাক্তারকে। অনুপস্থিত আছে ১জন এবং সম্প্রতি ওএসডিতে আছেন আরো একজন ডাক্তার। তাই কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তার রয়েছে মাত্র ৫জন। এমতবস্থায় প্রায় ডাক্তারশুন্য হয়ে পড়েছে রায়পুরা উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। শুধু তাই নয়, ডাক্তারের কক্ষ থেকে রোগী বেড়িয়ে আসলেই শুরু হয় প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি। কোন ঔষধ কোম্পানীর প্রোডাক্ট লিখছে তা দেখতে কোম্পানীর প্রতিনিধি আর রোগীর মধ্যে চলে টানাহেচড়া ও হট্টগোল । তাদের বিরক্তে অতিষ্ট হয়ে পড়ে সাধারণ রোগীরা। বহি:বিভাগের রোগীদের জন্য ফার্মেসীতে ও আরেক ভোগান্তি। ডাক্তারের দেয়া ঔষধ পরিবর্তন করে দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্বজনরা। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩শ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে। তাদের ঔষধ বিতরণে রয়েছে একজন ফার্মাাসিষ্ট। ঔষধ নিতে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘক্ষন। ফলে এখানেও শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত সকল রোগীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, অনিয়মের কথা কি আর বলবো ভাই। উপরের দিকে তাকিয়ে থু থু ফেললে নিজের গায়েই পড়ে। তাই বেশী কিছু বলতে পারবো না। কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক এর সাথে। তিনি বলেন, নতুন ভবনের জন্য নামমাত্র কিছু আসবাবপত্র আসলেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় ৫০ শয্যার কার্যক্রম সমপূর্নভাবে চালু করা সম্ভম হচ্ছেনা। ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় জনবল পেলে এ উপজেলার শতভাগ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হত