- জাতীয়, নরসিংদীর খবর, পলাশ, বেলাবো, মনোহরদী, রায়পুরা, লিড নিউজ, শিবপুর, সারাদেশ

রায়পুরায় ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের সংঘর্ষে নিহত ০৩ আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্ততঃ ৩০ জন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হক সরকারের সমর্থক বটতলীকান্দী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মো: দুলাল মিয়া (৩৭), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (টেলিফোন মার্কা) রাতুল হাসান জাকিরের সমর্থক বালুয়াকান্দী গ্রামের হেকিম মিয়ার পুত্র সালাহ উদ্দিন (৩০) ও সোবহানপুর গ্রামের হক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৭)।
এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার রাত থেকেই কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ভোরে ফজরের নামাজের পর পরই বটতলীকান্দী এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উল্লেখিত তিন জন নিহত হয় এবং আহত হয় ৩০ জন। আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা মো: পরশ মিয়া জানান, বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক সরকার আওয়ামী লীগের স্থানীয় ত্যাগী নেতা-কর্মীদের ডিঙ্গীয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে এলাকায় এলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী তাকে গ্রহণ না করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা রাতুল হাসান জাকিরকে সমর্থন করে। এটা মেনে নিতে না পেরেই বুধবার রাতে এলাকার কতিপয় নব্য আওয়ামী লীগারদের নিয়ে আমাদের সমর্থকদের উপর আকষ্মিক হামলা চালায়। এতেই সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার শূন্য অবস্থায় রয়েছে। তবে ৯৩নং বাঁশগাড়ী (২) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গেলে প্রিজাইডিং অফিসার শাহিন মিয়া জানান, ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। তবে এসময় স্কুলের আঙ্গীনায় কোনো ভোটার ছিল না। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৯২ জন বলে জানান তিনি।
রায়পুরা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, বাঁশগাড়িতে নির্বাচনী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে পার্শবর্তী মির্জাচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিদ্রোহী প্রার্থী জাফর ইকবাল মানিক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নলবাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বালুয়াকান্দী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র সংঘর্ষের ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল (৩০), ফালু (৩৫), আল আমিন (৩৫) গুরুতর আহয়। বালুয়াকান্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হামলাকারীরা ভেঙ্গে দিয়েছে।