নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিবন্ধী শিশুদের মূলস্রোতধারায় অন্তর্ভূক্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিক্ষা উপবৃত্তির কর্মসূচির তাৎপর্য বিষয়ক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুরা আমাদেরই সন্তান। তাদের শিক্ষার মূলধারায় অন্তর্ভূক্তি করে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি বিভিন্ন সফল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উদাহরণ টেনে বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের অনেক প্রতিভা। আমাদের কাজ প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেয়া।
সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির তুলনায় স্কুলমুখী শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। তিনি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধিসহ মাসিক উপবৃত্তির অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির সুপারিশ করেন।
গত ৩ নভেম্বর নরসিংদী সদর উপজেলার পরিষদের হলরুমে সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মাসুদুর হাসান তাপস। বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নঈম জাহাঙ্গীর, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আবু কাউছার সুমন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর মোঃ রুহুল ছগীর, পিআইও মনিরুল ইসলাম, জেলা স্কাউটসের সম্পাদক মনজিল এ মিল্লাত , ঘোড়াদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ঘোড়াদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জোহরা আক্তার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম, তাছলিমা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম খান।
উল্লেখ্য, নরসিংদী সদর উপজেলায় ১১ হাজার ২৩৪ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সুবর্ণ কার্ডে মাধ্যমে ভাতা দেয়া হয়। এরমধ্যে ০ থেকে ১৮ বছর বয়সের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৪ জন। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রাথমিকে ১৫৬ জন প্রতিমাসে ৯০০/ টাকা, মাধ্যমিকে ৪৪ জন প্রতিমাসে ৯৫০/ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিকে মাত্র ০৩ জন প্রতিমাসে ১০৫০/ টাকা করে উপবৃত্তি পায়।
প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার মূলধারায় অন্তর্ভূক্তি করে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে হবে – আসমা জাহান সরকার




