নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ মে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে নরসিংদী কালেক্টরেট ঈদগাঁহ মাঠে বড় পরিসরে ৩ দিনব্যাপী ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ -২০২৫ (বিজ্ঞান মেলা) , ৯ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও ৯ম বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা সুসম্পন্ন হয়েছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর ঢাকার তত্ত্বাবধানে “জ্ঞান-বিজ্ঞানে করবো জয়, সেরা হবো বিশ্বময়” – এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নরসিংদী’র পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) সূজন চন্দ্র সরকার। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ নাজমুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল খালেক। উপস্থিত ছিলেন জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও সুধীজন।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন,
আজকের অত্যাধুনিকতার যুগে বিজ্ঞানের ভূমিকাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। প্রতিনিয়ত এ আই এর ভার্সন পরিবর্তিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা তোমরা তোমাদের লক্ষ্য স্থির করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য স্থির করতে না পারলে সফলতার নাগাল পাবে না। তাই তোমরা আগেই স্থির করতে হবে, ভবিষ্যতে তুমি কী হতে চাও। এই আগ্রহ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে থাকতে হবে। অতি ক্ষুদ্র বিষয় নিয়েও তুমি অনেক বড় হতে পারবে।
শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ রেখে বলতে চাই, আপনারা স্কুল-কলেজের ল্যাবগুলো সাজিয়ে রাখবেন না। স্কুল-কলেজে ল্যাবগুলো সাজিয়ে রাখার জন্য নয়। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ব্যবহার করতে দিন। তাদের মধ্যে অনেক প্রতিভা আমরা দেখতে পেয়েছি। শিক্ষক অভিভাবক আপনারা তাদের সহযোগিতা করুন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনকার যুগে স্কুল কলেজই শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম না। ইউটিউব, ইন্টারনেট অনেক মাধ্যম আছে। আগ্রহ থাকলে তুমি শিক্ষক ছাড়াও নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবে। জীবনে বড় হতে হলে কোন না কোন প্রোগ্রামিং তোমাকে শিখতেই হবে।
শুধুমাত্র নেট-এ ঢুকবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে অভিভাবক-শিক্ষকদের একান্তভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলো:
বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে সিনিয়র গ্রুপে আশরাফ হোসেন টুটুল, মেহেরীন তামান্না, স্বর্ণা আক্তার, তাহমিদা আক্তার সোহানা ও ঈপসিতা ইসরাত জুঁই।
জুনিয়র গ্রুপে প্রথম থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে ওয়াজিহা আমিন লাবিবা, আদিত্য সাহা নিরব, আব্দুল্লাহ আল নাহিয়াল, মোঃ আতিকুর রহমান মোল্লা ও মোঃ রিয়াজুল ইসলাম।
জেলা পর্যায়ে জুনিয়র গ্রুপে প্রকল্প উপস্থাপনায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে হাতিরদিয়া সাদত আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নরসিংদী বিয়াম জিলা স্কুল এন্ড কলেজ, নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল এন্ড হোমস।
জেলা পর্যায়ে সিনিয়র গ্রুপের প্রকল্প উপস্থাপনায় প্রথম হয়েছে জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসা, দ্বিতীয় পলাশ থানা সেন্টাল কলেজ ও তৃতীয় সবুজ পাহাড় কলেজ।
জেলা পর্যায়ে বিশেষ গ্রুপে প্রকল্প উপস্থাপনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন প্রকল্পে নরসিংদী সাইন্স এন্ড রোবটিক্স ক্লাব, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে নরসিংদী বিজ্ঞান ক্লাব।
জেলা পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে প্রাণ আর এফ এল পাবলিক স্কুল, নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল এন্ড হোমস এবং জনতা আদর্শ বিদ্যাপিঠ।