নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাদের মাঝে ‘ স্যানেটরী ন্যাপকিন ‘ বিতরণ করেছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন।
গত শনিবার পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির কিশোরী শিক্ষার্থীর মাঝে এই স্যানেটরী ন্যাপকিন বিতরণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী এর পক্ষে এ স্যানেটরী ন্যাপকিন বিতরণ করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার।
স্যানেটরী ন্যাপকিন বিতরণের আগে কিশোরী শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পাঁচদোনা স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজ এর গভর্নিং বডির সভাপতি আসমা জাহান সরকার।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকুমার চন্দ্র কর, সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা জসীম উদ্দীন, নাজমুস শাহীন ও মরিয়ম বেগম, শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার ছোঁয়া প্রমুখ ।
সভাপতির ভাষণে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার বলেন, আজকের কিশোরী শিক্ষার্থীরাই আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে।
আজকে আমি তাদের চোখে সংকুচ দেখেছি। এই সংকুচিত হওয়া দূর করতে হবে। কঠিন পথকে দূর করে নিজের মসৃণ পথকে নিজেই জয় করে নিতে হবে। চলার পথটাকে মসৃণ করার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোনো বিকল্প নেই। একজন কিশোরীর সাধারণতঃ১৪ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে শারীরিক পরিবর্তন হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া । এতে লজ্জ্বা, সঙ্কুচ, ভয়, বাঁধা আর উৎকন্ঠার কিছুই নেই। কোনো ধরণের কোনো সংকুচ রাখা যাবে না। ভয়কে জয় করতে হবে। এক সময় আমিও সংকুচ বোধ করতাম। কিন্তু পরে বুঝলাম যে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোনো সংকুচ রাখা যাবে না। কারণ,স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একসময় আগের দিনে মায়েরা স্যানেটরী ন্যাপকিন এর ব্যবহার জানতেন না। ব্যয়বহুলও মনে করতেন। তারা অস্বাস্থ্যকর কাপড়ের ব্যবহারে অনেক অসুখের শিকারও হয়েছেন। আমাদের জীবন চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো এই স্বাভাবিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের ফলেই একজন কিশোরী পরবর্তীতে একদিন মা হতে পারে। তাই আজকে আমরা কিশোরী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তাদের মাঝে স্যানেটরী ন্যাপকিন বিতরণ করছি। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে আরো সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শারমীন তানিন বিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *