নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিক্যাল এডুকেশনের ২৫ বছর পূ্র্তি রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নূরুল হক প্রধান বলেন, ১৯৯৯ সালে অজপারাগারে প্রতিষ্ঠিত শারীরিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা সারাদেশের প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান পেশায় শিক্ষকতা করে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন। সহশিক্ষা কার্যক্রম খেলাধুলার মাধ্যমে ক্ষয়িষ্ণু যুব সমাজকে সঠিক পথ প্রদর্শন করছেন।
২৫ ডিসেম্বর সাড়ম্বর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিপিই’র সভাপতি ড.প্রকৌশলী স্মরণি হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিপিই’র সুযোগ্য অধ্যক্ষ আতিকুল্লাহ লাচ্চু। বক্তব্য রাখেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, নূরুল হক প্রধান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরজু মিয়া, আশরাফ জুট মিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সেন, জয়নাল আবেদীন মেম্বার। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য রাখেন বিসিপিই’র প্রাক্তন অধ্যক্ষ আমেরিকা প্রবাসী সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক শরীফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিপিএড কলেজটি আজ বৃহৎ পরিসরে পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া কমপ্লেক্সে পরিণত হচ্ছে। বিকেএসপি’র আদলে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত পিকেএসপি গড়ে তোলা হচ্ছে। সম্পূর্ণরূপে চালু হচ্ছে ক্রিকেট একাডেমী।
শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে তিনি বলেন, আপনাদের সাথে বিসিপিই’র বন্ধন আত্মিক। এই বন্ধন অটুট। ব্যক্তির মানসিক বিকাশ ও খেলাধুলার উন্নয়নে শারীরিক শিক্ষার বিকম্প নেই। বর্তমান বিশ্বের বহুদেশে খেলাধুলাকে জাতীয় চেতনার সাথে সম্মিলন ঘটিয়ে সুস্থ ও সমৃদ্ধশীল জাতি গঠনে কাজ করছে। আমাদের দেশেও ক্রীড়াক্ষেত্রে সফলতা অর্জনে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে বিসিপিই’র কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। ব্যাচ ভিত্তিক কৃতি শিক্ষার্থীরা হলেনঃ ১৯৯৯-০০ ব্যাচের বিপুল মৈত্র (গোপালগঞ্জ) ও ছবির আহমেদ সাব্বির (কুমিল্লা)। ২০০০-০১ ব্যাচের শরীফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির (নারায়ণগঞ্জ) ও মামুনুর রশিদ (কুমিল্লা)। ২০০২ ব্যাচের মোঃ সোলেমান শিকদার (কুমিল্লা) ও আতিয়ার রহমান (সিলেট)। ২০০৩ ব্যাচের মোঃ মাসুম (নরসিংদী) , সুমন মোল্লা, সূজন মোল্লা ও শিহাব মোল্লা (নারায়ণগঞ্জ), মোঃ কামরুল ইসলাম ( নরসিংদী)। ২০০৫ ব্যাচের লুৎফর রহমান (সুনামগঞ্জ)। ২০০৬ ব্যাচের মনজিল এ মিল্লাত ( নরসিংদী) ও সোহেল সাদাত (জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়)। ২০০৭ ব্যাচের মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ২০০৮ ব্যাচের রাসেল মিয়া (টাঙ্গাইল)। ২০১০ ব্যাচের আবু ফয়সাল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)। ২০১১ ব্যাচের মাসুদুর রহমান (নারায়ণগঞ্জ)।২০১২ ব্যাচের সোহরাব হোসেন (নারায়ণগঞ্জ)। ২০১৪ ব্যাচের ফয়সাল মাহমুদ (যশোহর),খাদিজা আক্তার (ক্রীড়া অফিসার মুন্সিগঞ্জ),কানন মিয়া (নরসিংদী) ও ইয়াকুব মিয়া (নারায়ণগঞ্জ)। ২০১৫ ব্যাচের মোঃ আরমান মিয়া (নরসিংদী), ২০১৬ ব্যাচের শাহ মোহাম্মদ কিবরিয়া( গাজীপুর)ও সৈয়দ নূর (সুনামগঞ্জ)।
সকাল ১০ঘটিকায় বিসিপিই’র প্রতিষ্ঠাতা নূরুল হক প্রধানের নেতৃত্বে বর্ণিল শোভাযাত্রা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ছনপাড়া কাঞ্চন রোড প্রদিক্ষণ করে।
এসময় বিসিপিই’র অধ্যক্ষ আতিকুল্লাহ লাচ্চু, বিসিপিই’র সাবেক বর্তমান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, আলাল স্যার, ওয়াহেদুল স্যার, শওকত স্যার ও খুশি ম্যাডাম।
লাঞ্চের পর মনজিল এ মিল্লাতের উপস্থাপনা শুরু হয় ব্যাচ ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের আবেগঘন স্মৃতিচারণ ও ফটোসেশন। সন্ধ্যায় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয় আকর্ষণীয় রাফেল ড্র। যার প্রথম পুরস্কার ছিল ঢাকা কক্সবাজার প্লেনের টিকিট। ছিল বর্ণিল আতসবাজির আকাশে আলোর ঝলকানি। ২৫ বছর পূর্তিতে বিসিপিই যে পরিপূর্ণ যৌবনে জানান দিয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে বড় বড় অট্টালিকায় বর্ণিল জমকালো সাজে ।
ভালো গিফট ( ব্যাগ, ফুটি, টি শার্ট, ক্যাপ, মগ ও টুপি) এবং বুফে খাবার খেয়ে সবায় তৃপ্তির ডেকুর তুলে।
শেষে হয়েও হলোনা শেষ, এবার ছবি কথা বলবে।বিসিপিই’র রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানের স্মৃতিধারণ করে রাখার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে বের হবে একটি ” স্মরণিকা ” । আজকের খোঁজখবরকে জানান, স্মরণিকা উপকমিটির আহ্বায়ক ২০১৫ ব্যাচের মাইনুল রহমান খান।