নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কেন্দ্রীয় কমিটির আমীর ডা: শফিকুুর রহমান বলেন, যেই থানা পুলিশ তাদের কথিত উপরের নির্দেশে জনগণের ওপর জুলুম করেছে সেই থানাগুলো আমরা এখন পাহারা দিচ্ছি। জামায়াতে ইসলাম চায় পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুরোদমে চলুক। তার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।

বিগত ১৬ বছর জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের নেতা কর্মীদের উপর যে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে তা আর কোন দলের প্রতি করা হয়নি। দলের দায়িত্বশীল শীর্ষ ১১ জন ব্যক্তিকে বিচারের নামে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। শত শত কর্মীকে খুন করা হয়েছে, হাজার হাজার কর্মীকে পঙ্গু করা হয়েছে, দুই নয়ন তুলে নেয়া হয়েছে, গুলি করে অন্ধ করা হয়েছে, হাত পা কেটে ফেলা হয়েছে। এই যন্ত্রণা বুকে নিয়ে চলেছি। তথাপি আমরা বলেছি কারো ওপর প্রতিশোধ নেব না। আর কাউকে সহজে নিতে দেব না। কারণ প্রতিশোধ প্রতিহিংসার জন্ম দেয়, প্রতিহিংসা সমাজে খুনের পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাই সামগ্রিকভাবে সকলকে ক্ষমা করে দিতে চাই।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নরসিংদীর ১৯ পরিবারের সদস্যদের মাঝে সহায়তার অর্থ বিতরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
২৩ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম নরসিংদী শাখার আয়োজনে এক মত বিনিময় শেষে সহায়তার অর্থ শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন।
মহতী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলা শাখার আমীর মোঃ মুসলেহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিনের আমীর সাইফুল আলম খান মিলন, নরসিংদী জেলা সেক্রেটারী আমজাদ হোসেন, নরসিংদী শহর শাখার আমীর মাহফুজ ভুইয়া, সেক্রেটারী আবুল বাশার খান, ছাত্র শিবির জেলা শাখার সভাপতি তাওহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারী রাকিবুল ইসলাম। এসময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নরসিংদীর ভেলানগরে প্রথম শহীদ ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম এর বাবা রফিকুল ইসলাম।


আলোচনা শেষে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান নরসিংদীর ১৯ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় কালে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন আমরা আপনাদের সাথে আছি। প্রত্যেকে শহীদ পরিবারের হাতে ২ লাখ করে সহায়তার অর্থ তুলে দেন।
সুদীর্ঘ ১৬ বছর পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা নেতা কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে প্রেসিডেন্সী কমিউনিটি সেন্টার কানায় কানায় পরিপূ্র্ণ হয়ে অনুষ্ঠান স্থলের বাইরে ছাত্র শিবিরের প্রায় ২ হাজার নেতা কর্মী বাহিরে অবস্থান নেয় এবং তাদের মধ্য থেকে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
হাফেজ মোঃ জয়নাল আবেদীনের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে উজ্জীবন শিল্পগোষ্ঠীর শিল্পীরা হামদ, বিপ্লবীও শহীদি গান পরিবেশন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *