বশির আহম্মদ মোল্লা
নরসিংদীর রায়পুরায় পান্থশালা টু সায়দাবাদ পর্যন্ত মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করতে চাইনিজ সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম জায়গা পরিদর্শন করেন চাইনিজ সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডেপুটির প্রধান প্রকৌশলী মিঃ জিয়া সাই, ব্যবসায় উন্নয়ন ব্যবস্থাপক মিঃ ইউ জিকুইং। আজ সকালে নরসিংদীর রায়পুরায় পান্থশালা থেকে মেঘনা নদীতে ট্রলার যোগে মেঘনা নদী পাড় হয়ে সায়দাবাদ ঘাটে নেমে তারা নদীর চারপাশ পরির্দশন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির ব্রিজ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ইবাদুর রহমান, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মাসুদ রানা, নরসিংদী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফুলকাম বাদশা, রায়পুরা উপজেলা প্রকৌশলী মো: সজিব সরকার,নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও রায়পুরা পৌরসভার দুইবারের সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া,নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিশিষ্ট ঠিকাদার নাজমুল হক ভূঁইয়া মোহন,রায়পুরা প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, রায়পুরা পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক,নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক বশির আহম্মদ মোল্লা, রায়পুরা উপজেলা যুবদল আহবায়ক আলফাজ উদ্দিন মিঠু,রায়পুরা উপজেলা রিপোর্টার ক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তৌফিকুল হক, বিশিষ্ট ঠিকাদার মো: মিলন মিয়া,নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সামসু উদ্দীন সামু,উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আকির ভুইয়া,সাবেক যুগ্ম কামাল উদ্দিন ফকির,শ্রীনগর ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা খন্দকার হারুন অর রশিদ, বাশঁগাড়ী কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য ডা:আওলাদ হোসেন,মেঘনার চর থানা বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান, সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান, উপজেলা যুবদল নেতা মো: মাইন উদ্দিন, উপজেলা যুবদল নেতা ইসলাম উদ্দিন,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানাগেছে,আমাদের নরসিংদীর কৃতি সন্তান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিত হোসেন ও সিনিয়র সচিব, বিদুৎ জ্বালানী খনিজ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এর প্রচেষ্টায় পান্থশালা টু সায়দাবাদ মেঘনা নদীর উপর ব্রিজ নির্মান এর জন্য নতুন করে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে রায়পুরা বাসী।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় পান্থশালা এলাকায় মেঘনা নদীর উপর ব্রিজ না থাকায় যুগ যুগ ধরে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ চরম র্দূভোগ এর শিকার হচ্ছে। ব্রিজ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হতে হয় রায়পুরা সহ চরএলাকার মানুষ। এই সেতু নির্মিত হলে পাল্টে যাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনৈতিক চাকা।
সাবেক মেয়র আব্দুল কুদ্দুছ মিয়া বলেন, পান্থশালা ও সায়দাবাদ মেঘনা নদীর পাড়ের এলাকায় এক সময় সন্ধ্যা হলেই যেখানে লোকজন যেতে ভয় পেত, এখন প্রতিনিয়ত সমাগম থাকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে, ব্রিজ নির্মান হলে ব্যবসার জন্য বানিজ্য বন্দ গড়ে ওঠবে পান্থশালা ও সায়দাবাদ ঘাটে। মেঘনা নদীতে ব্রিজ নির্মান করা হলে রায়পুরা বাসীর জীবন যাত্রার মান পাল্টে যাবে। জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: নাজমুল হক ভুইয়া মোহন বলেন, পান্থশালা ও সায়দাবাদ মেঘনা নদী উপর ব্রিজ নির্মান করার জন্য অগ্রগতি দেখে নরসিংদীর কৃতি সন্তান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিত হোসেন ও সিনিয়র সচিব, বিদুৎ জ্বালানী খনিজ এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন, এলজিইডির ব্রিজ প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ইবাদুর রহমান, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো:মাসুদ রানা, নরসিংদী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ফুলকাম বাদশাকে নরসিংদী জেলা ও রায়পুরা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ রানা বলেন, নদীবেষ্টিত রায়পুরা, মেঘনা নদীর উপর একটি সেতু হলে বদলে যাবে রায়পুরার চিত্র। মেঘনার চর থানা বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ও সায়দাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, নরসিংদী জেলার ৩ ভাগের ১ ভাগ যেমন: বেগুন, বাঙ্গী, তরমুজ, ধানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদিত হয় চরাঞ্চলে কৃষি জমিতে। চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি সেতু না থাকায় সঠিক সময়ে রায়পুরাসহ আশেপাশের বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে হয় বঞ্চিত হচ্ছে । জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এম এন জামান ভাই র্দীঘদিন যাবৎ এ ব্রিজ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে আসছে। দ্রুত মেঘনা নদীর উপর ব্রিজ নির্মান করার জন্য দাবী করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *