নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর নরসিংদীতে আনন্দ মিছিল এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘেটেছে। লুটপাট হয়েছে আ’লীগ নেতাদের বাড়ী-ঘরে।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই শহরের বিভিন্ন সড়কে হাজার হাজার মানুষ উল্লাস মিছিল বের করে। এসময় সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জেলখানা মোড়ে আনন্দ উল্লাশ প্রকাশ করে।
এদিকে নরসিংদী শহরে জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, হাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ী, আওয়ামী লীগ নেতা দীপক সাহার বাড়ী, পলাশ উপজেলায় এমপি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খানের বাড়ী, ঘোড়াশাল পৌর মেয়র আল মোজাহিত হোসেন তুষারে বাড়ী, রায়পুরা উপজেলায় রাজিউদ্দিন অডিটরিয়াম, স্বাধীনতা চত্বর, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায়ের বাড়ী, পৌর মেয়র আমিনুর রশিদ সুজনের বাড়ী, কাউন্সিলর কামালের বাড়ী, বেলাবতে আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম সানির বাড়ী, শিবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন ভূইয়া বাড়ী ও দুটি গাড়ীসহ জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের অফিসে ভাংচুর, হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া নরসিংদী প্রেস ক্লাবেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এদিকে বিকেল সোয়া চারটার দিকে উল্লাশিত ছাত্র-জনতা নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সামনে ভূয়া ভূয়াসহ বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে গেইটে অবস্থান নেয় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পুলিশ টিআরশেল ও গুলি ছুড়ে। এতে অন্তত ২৯ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহতদের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৭), ওয়াসিব (৩০) ও সোহাগ (২৫) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এএনএম মিজানুর রহমান জানান, বিকেলে ২৭ জন গুলিবিদ্ধ ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে গুলির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমার কোনো বক্তব্য নেই।