নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদী’র রায়পুরা উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বটতলী খামার পাড়ায় ২০১৪ সালে পুন:প্রতিষ্ঠিত কাসেমুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানাটি আর্থিক অনটনের কারণে ও শ্রেণি কক্ষের অভাবে বাহিরে/বারান্দায় ক্লাশ পরিচালনা করতে হচ্ছে।
মেঘনা শাখা নদীর তীরে মুসলিম ধর্মীয় ঘনবসতিপূর্ণ বাসিন্দাদের এলাকায় মনোরম পরিবেশে স্থাপিত মাদ্রাসাটি ছাড়া আশপাশের ২টি ওয়ার্ডে একটি মাত্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তাই ধর্মীয় শিক্ষা ও শিশু শিক্ষায় মাদ্রাসাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি থেকে হেফজা শ্রেণি পর্যন্ত মাদ্রাসাটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২১৪ জন। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ৬ জন। শ্রেণিকক্ষ রয়েছে মাত্র ৪টি। দ্বীনী প্রতিষ্ঠানটিতে ইসলামের বেসিক শিক্ষা কালেমা নামাজ জানাজা নামাজ রোজা সম্পর্কীয় শিক্ষাদান করা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলা ইংরেজী গণিতেরও বেসিক শিক্ষা দিচ্ছে।
প্রয়োজনীয় শ্রেণি কক্ষ না থাকায় মাদ্রাসার আঙ্গিনায় খোলা আকাশের নীচে আর বারান্দায়ই শ্রেণিকক্ষের অভাব পূরণ করতে হচ্ছে। আর্থিক অনটনের কারণে শিক্ষকদের বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা যাচ্ছে না। শিক্ষকগণ জায়গীর থেকে শিক্ষকতা করছেন এই মাদ্রাসায়। এতিমসহ গরীব আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ বেলাল হুসাইন এর সাথে আলাপ করে জানা গেছে এলাকার সমাজ সেবক -শুভাকাঙ্ক্ষী মো: আনোয়ার হোসেন, মো: রফিকুল ইসলাম রফিক,ইউসুফ মেম্বার,আব্দুল হক মেম্বার, হারুন মোল্লা,মো: তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও উৎসাহ উদ্দীপনায় এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে পালাক্রমে মাদ্রাসাটিতে কর্মরত শিক্ষক ও অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একশত পঞ্চাশ জনের খাবার প্রতিদিন সরবরাহ করে আসছে। কিন্তু বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে তা চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আমরা জানি, শিক্ষায় বিনিয়োগ সেরা বিনিয়োগ।এমতাবস্থায় সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সমাজহিতৈষী বিত্তবান ব্যক্তিদের মাদ্রাসাটিকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী সুধীজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *