নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে আনুমানিক ০১১০ ঘটিকায় অধিনায়ক ২৮ ই বেংগল লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদ, পিএসসি আসমান্দিরচর পাঁচদোনা, মাধবদী, নরসিংদী হতে ছাত্রদল নেতা হুমায়ূন হত্যা মামলার ০১ নং আসামী মোঃ শাহ আলম এবং তার নিকট হতে উদ্ধারকৃত পিস্তল (FATIH-13), ০১ রাউন্ড তাজা গুলি এবং ০৯ রাউন্ড গুলির খালি খোলস নরসিংদী মডেল থানার নিকট হস্তান্তর করেন।
ঘটনার বিররনঃ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ আনুমানিক ২০০০ ঘটিকায় এলাকাবাসির ফোনকলের ভিত্তিতে জানা যায় যে, নরসিংদী জেলার আসমান্দিরচর, পাঁচদোনা এলাকায় একটি বাড়িতে আসামী শাহ আলম অতর্কিতভাবে ঢুকে পড়ে এবং বাসার ভিতর থেকে দরজা আটকে দেয়। এলাকাবাসীকে ভয় ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে শাহ আলম এলোপাথাড়ি ০২-০৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। উক্ত তথ্যের ভিত্তি করে অধিনায়ক ২৮ ই বেংগল এর নির্দেশক্রমে বিএ-৮৪৭৩ মেজর জিহান উদ্দিন আহমেদ খাঁন এবং বিএ-১১৬৮১ লেঃ কাজী সাদমান এর নেতৃর্তে তাৎক্ষণিকভাবে উল্লিখিত এলাকায় ০২টি বিশেষ টহল দল গমন করে। টহল দলের কিছু সংখ্যক সদস্য উক্ত বাড়ির চতুর্দিকে ঘেরাও করে। সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে শাহ আলম বাসার ভেতর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে ০৪-০৫ রাউন্ড এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। মেজর জিহান উদ্দিন আহমেদ খাঁন কর্তৃক প্রায় ০১ ঘন্টা ৩০ মিনিট যাবৎ শাহ আলমের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে তাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। সেনাবাহিনীর টহল দলটি আসামী শাহ আলমের নিকট হতে ০১টি পিস্তল (FATIH-13), ০১ রাউন্ড তাজা গুলি এবং বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ০৯ রাউন্ড গুলির খালি খোলস উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উল্লেখ্য যে, গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে আসামী শাহ আলম, নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা এলাকায় ছাত্রদল কর্মী হুমায়ূনকে ব্যাটমিন্টন খেলারত অবস্থায় ডেকে হত্যা করে।